মোঃ দেলোয়ার হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সকালের ঝলমলে সূর্য্যের আলোয় অপরুপ সৌন্দর্য্য মুখরিত হয়ে উঠে বাফলার বিলে সারি সারি সাদা শাপলা ফুল। সকালের স্নিগ্ধ বাতাসে পাখিদের কোলাহলে ফুলের সৌন্দর্য্য যেন শোভা পাচ্ছে।এমন মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য্য মন কারছে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্রমন পিপাসুদের।সেখানে নিজেকে ফুলের সঙ্গে স্মৃতিময় করতে ছুটে এসেছেন দুর দুরান্ত থেকে।। নৌকা চালানোর ঢেউ আর সাদা ফুলের পাপড়ি যেন বিল জুড়ে ছড়াছড়ি।
বাফলার বিলটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডী ইউনিয়নের বাফলা গ্রামে অবস্থিত। ৩৫০ বিঘা খাস জমির এ বিলের নাম গ্রামের নামে নামকরণ করা হয় বাফলার বিল। যার দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর ) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাফলার বিল জুড়ে ফুটে উঠেছে সাদা শাপলা ফুল। সারি সারি হয়ে শাপলার সৌন্দর্য্য যেন এক সাদা ফুলের মেলা। এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উদাসি করে তোলে বিভিন্ন বয়সের ভ্রমণ পিপাসু মানুষকে। অনেকে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিলের পানিতে নৌকায় ভাসছে। স্মৃতি করে রাখতে নিজেকে সেলফি বন্দি করছে ভ্রমন পিপাসুরা। সকালের সূর্য্যের মিষ্টি আলো পড়তেই পানি আর ফুল যেন ঝলমল করে। সূর্যের সোনালি আভা পানিতে প্রতিফলিত হয়ে সৌন্দর্য্য বাড়িয়েছে কয়েক গুণ। বিলটি নৌকায় ঘুরতে সময় লাগে প্রায় দুই/তিন ঘন্টা।এ সময় ঠিক মনে হবে শাপলা ফুলের সাথে দোল খাচ্ছে।
এলাকাবাসী জানায়, এই বাফলার বিলে বিভিন্ন শ্রেণীর দেশী মাছ পাওয়া যায়। কয়েক শত জেলে এই বিলে সারা বছর মাছ স্বীকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।ঐতিহ্যবাহী এ বাফলার বিলে শীত মৌসুমে নানান প্রকৃতির অতিথি পাখিতে ভরে যায়।দেখে মনে হবে এ যেন অতিথি পাখির এক অভয়ারণ্য।সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও এলাকা বাসীর সচেতনতায় কেউ পাখি শিকার করতে পারে না। আবার গ্রীষ্ম মৌসুমে পানি শুকিছে আসলে স্থানীয়রা বোরো ধান চাষাবাদ করেন। সরকারি সহায়তা পেলে পর্যটকদের ব্যাপক সম্ভবনা থাকায় বিলটি পর্যটন স্থান হিসেবে সহজেই গড়ে উঠবে।
বিলটিতে শাপলার সারি সারি ফুলের সুভাস নিতে আসা মুনমুন আক্তার বলেন, আমি ফেসবুকে দেখেছি বিলের সৌন্দর্য্য অনেক মনোমুগ্ধকর।শাপলা ফুল আমার খুব প্রিয়। দেখার পরে আমি এখানে ঘুরতে এসেছি। নৌকা নিয়ে ঘুরলাম ছবি তুললাম অনেক ভালো লাগলো।
রনচন্ডী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান বিমান বলেন,এটি অনেক পুরনো ঐতিহ্যবাহী বাফলার বিল। এখানকার সৌন্দর্য্য যেন অপরুপ মহিমা প্রকাশ করে।স্থানীয়রা এখানে অনেকে এ বিলে মাছ স্বীকার করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। শীতের সময়ে এখানে অতিথি পাখিদের কোলাহলে সৌন্দর্য্য আরও বেড়ে যায়। এখন শাপলা ফুলে বিলটির সৌন্দর্য আরও বেড়ে উঠেছে। এখানে স্থানীয়দের নৌকা আছে কেউ ঘুরতে আসলে তারা নৌকায় ঘুরায়।প্রত্যেক দিনে কমবেশি অনেক মানুষ এখানে ঘুরতে আসে। সরকারিভাবে বিলটিকে সংস্কার করা হলে পর্যটকদের আগমন ঘটবে এবং এলাকার ও উন্নয়ন হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি হক বলেন, আমি শুনেছি তবে দেখা হয়নি।বিলটির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি ও রক্ষার লক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেটি করার চেষ্টা করব।
আপনার মতামত লিখুন :