স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারীঃ নীলফামারীতে তিস্তার পানি কমছে। এরইমধ্যে বাড়িঘর থেকে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। গতকাল সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে তিস্তা ব্যারাজের নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ১৫) ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অব্যাহত রয়েছে পানি কমা।গত শনিবার রাতে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে রোববার সকাল ছয়টা পর্যন্ত দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি। এরপর ওই দিনই সকাল ৯টা থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক দফা কমে বিপৎসীমার নিচে নামতে থাকে নদীর পানি। তিস্তা ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে পাউবো কর্তৃপক্ষ। নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নামায় ডিমলা উপজেলার সাত ইউনিয়নের ১৫ চরগ্রামের বসতভিটা থেকেও পানি নামছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মাঝে।
পানিবন্দি হয়ে পড়া এসব গ্রামের সাড়ে তিন হাজার মানুষের জন্য ৩০ মেট্রিক টন চাল এবং শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়েরুজ্জামান। তিনি জানান, তালিকা প্রস্তুত করে এসব বিতরণ করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আতিকুর রহমান জানান, গেলো কয়েকদিন তিস্তার উজান ভারত ও ভাটির দেশ বাংলাদেশে টানা ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে উজানের ঢলে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার রাতে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।তিনি জানান, রোববার সকাল থেকে কয়েক দফায় পানি কমে সোমবার সকাল থেকে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুপুর নাগাদ পানি আরও কমবে।কিছুটা কমে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচেকিছুটা কমে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে বর্তমানে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার দোমহানী পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং মেকলিগঞ্জ পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারীতে তিস্তার পানি বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :