মোঃ মারুফ হোসেন লিয়নঃ সৈয়দপুর শহরের বিমানবন্দর সড়ক ও উপজেলা সড়কের বিভিন্ন স্থান অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা করছে স্থানীয় একটি অসাধু চক্র। একই সাথে অমল বিশ্বাস নামের এক ব্যাক্তি ওই সড়কে বালু ও পাথর রেখে তার বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই সড়কে পানি ভেজা বালু রেখে সড়কটি ক্ষতির সম্মুখীন হলেও দেখার যেন কেউই নেই।
ওই সড়ক দিয়ে চলাচল রত মানুষজন বলছেন, ভিআইপি সড়কের জায়গা দখল করে বালু ও পাথর রাখায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। স্হানীয় প্রশাসন এসব বিষয়ে অবগত থাকার পরেও কোন প্রকার ব্যবস্হা নিচ্ছেন না। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিমানবন্দর সড়ক ও উপজেলা সড়কের একাধিক জায়গায় পাঁচ থেকে সাত ফুট জায়গা দখল করে পাথর ও বালু স্তূপ করে রাখা রয়েছে। ব্যবসায়িরা এই সড়ক থেকেই পাথর ও বালুর ব্যবসা করছেন। ।এর ফলে চলাচল করার সড়ক সরু হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করা মোটরসাইকেল চালক নাজমুল হুদা বলেন, ‘রাস্তায় বালু রাখার কারণে বাইক চলাচলে খুবই অসুবিধা হয়। জরুরি কাজে দ্রুত চালানোর সময় অন্য গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে, বালুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালাতে হয়। এতে প্রায় সময় মোটরসাইকেলের চাকা পিছলে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রংপুর থেকে প্রাইভেট কার নিয়ে উপজেলা সড়ক হয়ে বিমানবন্দর যাওয়ার সময় কজন বলেন বালু ও পাথরের কারনে একেবারেই ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে হয়। বিমান ছাড়ার সময়ের আগে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে দ্রুত গাড়ি চালাতে পারি না। কারন বালুতে পিছলে পড়লেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
পথচারী রবিউল ইসলাম বলেন, একদিকে সড়কে বালু ও পাথর, অপর দিকে দ্রুতগামী গাড়িগুলোর জন্য ঝুঁকি নিয়ে আমাদের পথ চলতে হচ্ছে। একটু অসাবধানতা হলেই চাকার নিচে পিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ রয়েছে। এছাড়া সড়কে রাখা বালু ড্রেনে পড়ে পানি নিষ্কাসনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর- ই আলম সিদ্দিকিকেই দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে স্থাপিত আর্মি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, এই সড়কে প্রায় প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কে পাথর ও বালুগুলোই দুর্ঘটনা বড় কারণ বলে জানান শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন বর্তমানে দুর্নীতিবাজরাই দাটের সাথে তাদে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বালু ও পাথরের কারনে ওই সড়ক দিয়ে মানুষ যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে তা তারা তোয়াক্কাই করছেন না।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই আলম সিদ্দিকি বলেন, আইনের উর্ধে কেউই না। এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :