সৈয়দপুরে জেলা ছাত্রদল সভাপতি- সম্পাদকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপ-প্রচার


saidpureralo প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ১:২০ অপরাহ্ণ /
সৈয়দপুরে জেলা ছাত্রদল সভাপতি- সম্পাদকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপ-প্রচার

মোঃ মাইনুল হক, নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এক ব্যবসায়ীর দোকান ঘর দখলের ঘটনা নিয়ে, ১২ আগস্ট, ভুক্তভোগী মাসুদুর রহমান লেনিনের শালা, লাবু কতৃক জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে দোকান ঘর দখল করে নিয়েছে, এমন,একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয় ।এ বিষয়ে লাবু সরকারের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি যে ভিডিও বার্তাটি দিয়েছি, সেটা সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ নিজেকে বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবী করে আমাদের দোকান ঘরটি উদ্ধার ও দোকানের ক্ষতি পূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, সৈয়দপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সম্পৃক্ততার থাকার বিষয় টি নিজে স্কিপ লিখে দিয়ে আমার দ্বারা ভিডিও বার্তা করিয়ে নেয় আবু সাইদ।পরে বুঝতে পেয়ে লাবু সরকার জানান সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোনভাবে এই ঘটনার সাথে তারা জড়িত নন তারা।আবু সাইদ ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ফয়দা হাসিলের উদ্দেশ্য প্রণোদিত নোংরা রাজনীতির ফাদে পড়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা ভিডিও বার্তা করাই লাবু সরকার নিজে দু:খ প্রকাশ করেন

এদিকে ১৮ আগস্ট বুধবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মাসুদুর রহমান লেনিনের স্ত্রী লুনা আকতার। এ সময় তার ছেলে ইয়াছিন রহমান অনিক ও শ্বশুর লিয়াকত আলী। সংবাদ সম্মেলনে তারা লিখিত বক্তব্যের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এখানে কোন সম্পর্ক নেই, এতে আরও বলা হয়, দখল হয়ে যাওয়া দোকান ঘরটি গত ২০১৩ সালে নগদ অর্থে পজিশনসহ ক্রয় করেন ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান লেলিন। সেই থেকে ওই দোকান ঘরে (পাঁচমাথা ফার্মেসি) ওষুধের ব্যবসা করে আসছিলেন লেলিন। যথা নিয়মে পৌর ট্যাক্স পরিশোধ করে আসছেন নিয়মিত। কিন্তু গত ৫ আগস্ট পাশের দোকান সাহাবাজ পলিথিন স্টোরের মালিকের ছেলে ইমরান সাহাবাজ, আব্দুস সালাম, মেরাজসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ওষুধের দোকান ঘরটি দখল করে নেয় বলে অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আঃ সালাম মেরাজ ও ইমরান বলেন, ‘মাসুদুর রহমান লেলিন ২০১৪ সালে আমাদের কাছ থেকে দোকান ঘরটি ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু শুরুতে ৬ মাসের ভাড়া পরিশোধ করার পর আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দোকানটি দখলে নেয়। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিজয় মিছিল থেকে ছাত্র-জনতা লেলিনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে দোকানঘরটি ভাঙচুর করে। এরপর দীর্ঘদিন লেলিনের অনুপস্থিতির কারণে মালিক হিসেবে দোকানটি বুঝিয়ে লই।’