খানসামায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ, ০৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন


saidpureralo প্রকাশের সময় : আগস্ট ২৮, ২০২৪, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ /
খানসামায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ, ০৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

জে.আর.জামান, খানসামা, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোলাম রহমান শাহ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কাজী মো. আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতি, রশিদ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা আদায় সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও এনটিআরসিএ কতৃক সুপারিশকৃত দুইজন সহকারী শিক্ষকের নিকট দুই লক্ষ টাকা চাঁদা বেতন বিল বন্ধ রাখার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এমনকি ঐ প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা শিক্ষকরাও বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।

এসব বিষয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের সহ-সভাপতি, বিদ্যুৎসাহী ও দাতা সদস্য আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিন শাহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় ০৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার, ২৮ আগষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে স্থানীয় ও ঐ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের সাথে কথা বলে এসব ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন এই প্রতিবেদক।

স্থানীয়দের সাথে কথা হলে কয়েকজন জানান, শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর আর মাদ্রাসায় আসেননি অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক। ঐ প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ০৮ একর জমি বন্ধক রেখেছেন অধ্যক্ষ বলে জানা যায়। এছাড়াও এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশকৃত দুই জন সহকারী শিক্ষকের কাছে দুই লক্ষাধিক টাকা চাঁদা দাবী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন স্কেল বাড়ানোর নামে শিক্ষকদের টাকা হাতানোসহ অসংখ্য অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ প্রতিষ্ঠানের এক সহকারী শিক্ষক বলেন, উচ্চতর স্কেলের আবেদনে টাকা ছাড়া সাক্ষর দেন না অধ্যক্ষ। বেতন স্কেল বাড়ানোর নাম করে চলতি বছরে আমার কাছে কয়েক ধাপে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অধ্যক্ষ। আমি ছাড়াও সেসময় তিনি আরও কয়েকজন শিক্ষকের কাছ থেকে নিয়েছেন হাজার হাজার টাকা।

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ কাজী আব্দুল মালেক বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আনার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। একটি পক্ষ ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব করছে। নিযোগের বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন এবং সকল নিয়োগ প্রক্রিয়া বিধিসম্মত ভাবে হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ছুটিতে আছেন বলে জানান।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক বলেন, এ বিষয়ে আমার তদন্ত করে এখনও প্রতিবেদন পেশ করি নি। বর্তমানে একটি কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঐ মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. তাজ উদ্দিন বলেন, ঐ মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।