মোহাম্মদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর( দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে স্বামী রেখে যাওয়া শেষ সম্বল জমি উদ্ধারে ও জমি দখলের লক্ষে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে মনগড়া সংবাদ সম্মেলেনের বিরুদ্ধে চিরিরবন্দর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ফিরোজা খাতুন (৫০) নামে এক বিধবা নারী। ২৮শে এপ্রিল রোববার সকালে চিরিরবন্দর উপজেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার। লিখিত বক্তব্যে বিধবা নারী ফিরোজা খাতুন বলেন আমার দুই ছেলে ফিরোজ আহমেদ (৩৫) ও মুন্না হোসেন (২৫) অপারদিকে এক মেয়ে মোসুমি আক্তার সুমি। কোন রকম ভাবে মেয়েটার বিয়ে দিয়েছি। কিন্তু ছেলে গুলোর কোন পদ করে দিতে পারিনি। তারা দুজোনেই বেকার। আমার স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র শেষ সম্বল সেটিও আজ দখলমুক্ত করতে পারছিন এতে আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি। এরি মধ্যে বিবাদী মুন্জু আরার সহযোগী তার আপন ভাগ্নি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ওয়াজিদা খাতুন বেবী গত ২৪ এপ্রিল বুধবার নিজেকে নিদোশ প্রমানের উদ্যেশে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে আমাদের উপর সড়যন্ত্র মূলক একটি ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। যা প্রমান স্বরুপ তাদের দায়ের করা মামলার ৪৩ জন আসামীর পরিবার আজ তার কাছে জিমনি ও প্রতিয়মান আছি। এছাড়া সম্প্রতি একটি সত্য বিষয় সাংবাদিকের ভিডিও করা এক প্রতিবেদনে আমাদের বিষয়টি সুন্দর ভাবে তুলে ধরায়। যা সকলের সামনে প্রমানিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন আমার নশরতপুর ইউনিয়নের রাণীরবন্দর কলেজ পশ্চিম পাড়া সংলগ্ন স্বামীর পৈত্রিক সূত্রে কিসমত নশরপুর মৌজার তফশীল ভুক্ত সম্পত্তি ১৬৭৮ খতিয়ানের ৩০৪৬/৩০৪৭ দাগের ৮ শতক জমির উপরে ৪ শতক জমি আতাউর রহমান (৪০) ও মন্জু আরা (৩৬) এর সহযোগিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ওয়াজিদা খাতুন বেবী তার খালাতো বোন হওয়ায় তারা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ও ওই এলাকার সন্ত্রাসী ক্যাডারদের ব্যবহার করে আমার ওই জমি দীর্ঘদিন যাবত জবর দখল করে রেখেছে। নিজস্ব জমিতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে তারা এখন পর্যন্ত জমি সংক্রান্ত সহ আমার পরিবারের ও গ্রামবাসী নামে মোট ৬টি মামলায় ৪৩ জনকে আসামী করেছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ওয়াজিদা খাতুন বেবীর সহযোগিতায় তার আপন খালা বাদী মন্জু আরার দায়ের করা একের পর এক মিথ্যা মামলায় আমরা আজ নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার স্বামীর রেখে যাওয়া তফশীলভুক্ত শেষ সম্বল নিজস্ব সম্পত্তিতে অবৈধ ও অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে আমার দুই ছেলে এতিমের সম্পদ দখলের মগ্ন হয়ে উঠেছে সে। তার এই অবৈধ তৎপরতা ও একের পর এক মিথ্যা মামলা থেকে আমরা মুক্তি চাই। বর্তমানে আমার দুইছেলে তার দায়ের করা একাধিক মামলায় নিয়মিত জেলে যাওয়া আসা করায় আমার ভিক্ষা করে খাওয়ার উপকর্ম হয়ে উঠেছে। তাই প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকষণ করছি তাদের বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে আমার এই বিষয়টি সু- বিচার করে তাদের হাত থেকে মুক্তি দেবেন।
আপনার মতামত লিখুন :