মোঃ মারুফ হোসেন লিয়নঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষন(টিআর)কাবিটা চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে শহরের দৃশ্যপট।পৌর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে জোরেশোরে।পৌর সূত্রে জানা যায়,২০২৪-২৫ অর্থবছরের ২৯ টি প্রকল্পের মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে,৫৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯১৭ টাকা।বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো হলো- সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ঘর সংস্কার, স্লাবসহ ড্রেন নির্মাণ, গ্যারেজের ফ্লোর ঢালাই, মাছ ও খাসির মাংসের বাজারের টিনের ছাউনি পরিবর্তন, পুকুরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, গলি রাস্তা সিসি করণ, ডাস্টবিন নির্মাণ, ড্রেনের মাটি ও আবর্জনা পরিস্কার, পানির লাইন সংস্কার, রাস্তা উচুঁ ও সলিংকরণ, কবরস্থান সংস্কার ও ড্রেন সংস্কারের কাজ।ওইসব কাজের মধ্যে ১১নং ওয়ার্ডের পুরাতন মাছ বাজার ও খাসির মাংস বাজারের টিনের ছাউনি, পান বাজারের ড্রেনসহ স্লাব নির্মাণ ও ১২নং ওয়ার্ডে বয়েজ স্কাউটের ঘর সংস্কার কাজ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,খাসি ও মাছ বাজারের ছাউনি নষ্ট হওয়ায় বিক্রেতা ও ক্রেতা বর্ষার সময় উভয়ে ভোগান্তির মধ্যে পরতো।পুরাতন টিনের ছাউনি পরিবর্তন করে নতুন টিন লাগায় দোকানদারের মুখে হাসি ফুটেছে।কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী বলেন,বর্ষার সময় টিন দিয়ে পানি পড়াতে আমাদের ভোগান্তির শেষ ছিলোনা।প্রতিদিন ব্যবসায় লছ হতো।পৌরসভার এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।পৌরসভার পান বাজারে ৮০ মিটার ড্রেন নির্মাণে জলাবদ্ধতা নিরসনসহ পানি নিষ্কাশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।এতে করে পান ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি দূর হবে।
পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের পানি ট্যাংকি সংলগ্ন মমিন সৈয়দপুরের আলোকে বলেন,এই জায়গাটিতে বর্ষার সময় হাটুপানি জমে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি হতো।পৌর প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ হওয়ায় আমরা অনেক আনন্দিত।১৩ নং ওয়ার্ডের পুলিশ লাইন এলাকার বাসিন্দা সুলতানা বলেন,এই রাস্তাটি বেহাল অবস্থা ছিলো।বর্তমান পৌরসভার অধিনে ইটের সলিং হওয়ায় আমাদের ভোগান্তি কমবে পাশাপাশি স্কুল কলেজের বাচ্চারা স্বাচ্ছন্দে তাদের প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে।
পৌরসভার মকবুল ও মানিক সৈয়দপুরের আলো কে জানায়,এতদিন সড়কে কাদা পানি দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগের শেষ ছিল না।তারা আরও জানান,সড়ক,ড্রেন,বাজারের টিনের ছাউনি পরিবর্তন,ক্লাবঘরের অবকাঠামো উন্নয়ন করায় পৌরবাসী কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক নুর-ই আলম সিদ্দিকী সৈয়দপুরের আলো কে বলেন,পৌর এলাকার ১৫ টি ওয়ার্ডে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (টিআর) কাবিটা ২৯ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শহরের দৃশ্যপট বদলে যাবে। পাশাপাশি মানুষের জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন আসবে।সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সম্পূর্ণ কাজ পৌরসভার কঠোর তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে।সেই সাথে পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা,জলাশয় পরিষ্কার,ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জন দুর্ভোগের রাস্তা,বাজারের ছাউনি পরিবর্তন,ক্লাব ঘরের অবকাঠামো নির্মাণের সহযোগিতা শহরের মানুষের অনেক অংশে ভোগান্তি নিরসন হবে।এই ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজে পৌরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
প্রসঙ্গ,গ্রাম বাংলার অবকাঠামো উন্নয়নে আধুনিকরণের ফলে নীলফামারী সৈয়দপুর পৌরসভার মহল্লার দৃশ্যপটে টিআর,কাবিটা প্রকল্পে পাল্টে গেছে বাজার ক্লাব রাস্তাঘাটসহ পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণ ব্যবস্তা।যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনে কৃষি, ব্যবসা, শিক্ষা,স্বাস্থ্যে ক্ষেত্রে উন্নত হচ্ছে উত্তরের জনপদ সৈয়দপুর। এই ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজে পৌরবাসী কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :