সৈয়দপুরে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার দুই ভুয়া সাংবাদিক


admin@saidpureralo প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৮, ২০২৫, ১:৩২ অপরাহ্ন /
সৈয়দপুরে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার দুই ভুয়া সাংবাদিক

বিশেষ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হন দুই ভুয়া সাংবাদিক।আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সৈয়দপুর উপজেলার চৌপুতি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে তারা শেষ পর্যন্ত পুলিশের সহায়তায় রক্ষা পান।

ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন—দৈনিক ক্রাইম তালাশ নামে একটি অনলাইন পোর্টালের পরিচয়দানকারী, শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার মো. রাজা, যিনি পেশায় বিরিয়ানি ও কাপড় বিক্রেতা, এবং হাটবাজারে হলুদ বিক্রেতা মো. ইবনে আলি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন বিকেলে চৌপুতি বাজারের কথিত মাদক বিক্রেতা স্বপনের দোকানে এসে তারা চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে দোকানে আসা বিভিন্ন ক্রেতার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। ক্রেতারা ভিডিও ধারণে আপত্তি জানালেও তারা তাতে কর্ণপাত না করে ভিডিও করতে থাকেন। এরপর স্বপনের দোকানের পাশে বকতিয়া বাসায় মাদকদ্রব্য ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে সেখানে গিয়ে নিউজ করার ভয়ভীতি দেখান এবং চাঁদা দাবি করেন। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠে বাজারের জনতা এবং দুইজনকে গণধোলাই দেয়।

স্থানীয়রা জানান, ওই দুইজন দীর্ঘদিন ধরে চৌপুটি বাজার, নতুন হাট, সিপাই বাজার, তৌফাইলের মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে আসছিল। তারা মাদক বিক্রেতা কিংবা থাই ভিসা প্রতারক বলে মিথ্যা অভিযোগের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করতেন।

সৈয়দপুর উত্তরার আবাসনের কয়েকজন সৈয়দপুরের আলো কে জানান, কিছুদিন আগে তারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গলায় কার্ড ঝুলিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে সার্ভে করছিলেন—“কার বাড়ি?”, “কীভাবে নিলেন?” ইত্যাদি প্রশ্ন করে। এসময় তারা বলেন, ইউএনও পাঠিয়েছেন। অথচ ইউএনও পরে জানান, তিনি কাউকে পাঠাননি। এভাবেই তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছিল।

তৌফাইলের মোড়ের এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাজা ও ইবনে আলি নামের ওই দুই ব্যক্তি তার কাছ থেকে ভিসা ও অনলাইন জুয়া নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ২০ হাজার টাকা আদায় করেন। এ ঘটনার প্রমাণ হিসেবে তার কাছে ভিডিওও রয়েছে।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা হলে সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন সৈয়দপুরের আলো কে বলেন, “ভুয়া পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় জনতা দুই কথিত সাংবাদিককে আটক করে। পরে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ৯৯৯-এ খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। আমি থানার বাইরে আছি, বিস্তারিত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।