মোঃ রবিউল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ চলছে কার্তিক মাস এর মধ্যে সকালে ঘাসের ডকায় শিশির বিন্দু জমে, সন্ধ্যা হলে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরে দেশের উওর অঞ্চল ঠাকুর গাঁও।সারারাত মৃদু ঠান্ডা মাঝে মাঝে হিম শীতল হাওয়ায় জানান দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। আর শীতের আমেজ শুরু হতেই হরিপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় সকাল, সন্ধ্যায় ইতিমধ্যে ভাপা পিঠে বিক্রি হওয়া শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগে থেকে পসরা সাজিয়ে বসা শুরু করেছেন স্থানীয় ভাপা পিঠে বিক্রেতারা।বহুল পরিচিত খাবার এই ভাপা পিঠে। মাঠের ধান ওঠা শুরু করতেই গৃহস্থের বাড়িতে ভাপা পিঠে খাবারের প্রচলন বহুদিনের। তবে এখনকার দিনে বাড়িতে ভাপা পিঠে বানানো সময়ের অভাব। তাই হাট বাজারে ও ভাপা পিঠে বেশি মিলছে। জলের ভাপের সাহায্যে চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি করা হয় এই বিশেষ প্রকার পিঠে। অনেকে এই জাতীয় পিঠে মিষ্টি বা সুস্বাদু করার জন্য চালের গুঁড়োর সঙ্গে গুড় কিংবা নারকেল সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী মিশিয়ে থাকেন। বিক্রেতারা কেও কেও ঢেঁকির সাহায্যে চাল গুঁড়ো করে থাকেন।টেংরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সহরবানু জানায় আমি গত কয়েক বছর যাবত ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করি প্রতিটি পিঠার মূল্য নিই ৫-১০টাকা এতে পিঠার স্বাদ নিতে পেরে খুব খুশি সাধারণ মানুষ। একই এলাকার বাসিন্দা খতেজা জানান আমি প্রতি শীতে ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করি, তাই প্রতিবছরের মতো এবছরও শীত আসার আগেই পিঠা তৈরি করছি এতে ক্রেতারা আগাম ভাপা পিঠার স্বাদ মুখে নিতে পেরে খুব খুশি।
আপনার মতামত লিখুন :