সৈয়দপুরে খড়ের দাম বৃদ্ধি,বিপাকে পশুপালনকারী


saidpureralo প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১, ২০২৪, ২:৫২ অপরাহ্ণ /
সৈয়দপুরে খড়ের দাম বৃদ্ধি,বিপাকে পশুপালনকারী

মোঃ মারুফ হোসেন লিয়নঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বেড়েই চলেছে। বর্তমানে খড়ের আঁটির পণ (৮০টি) বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা এবং খড়কুটো বিক্রি হচ্ছে ২৩ টাকা কেজি। ফলে পশুখাদ্যের উচ্চমূল্যে সৈয়দপুর উপজেলায় গবাদিপশু পালনকারীরা বিপাকে পড়েছেন। জানা যায়, সৈয়দপুরে গবাদিপশুর মালিক ও খামারিরা বাজার থেকে চড়া দামে খৈল, ভুসি, চোকর, ধানের গুঁড়া, ভুট্টার গুঁড়া, ছোলার খোসা, মসুরের পাউডার ইত্যাদি কিনছেন। এসবের দাম যথেচ্ছাভাবে বেড়ে চলায় অনেকে গরু-ছাগল লালনপালন করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এছাড়া প্রাকৃতিক ঘাসের দামও প্রচুর। পশুপালনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেক পশু পালনকারী গরু-ছাগল বিক্রি করে দিচ্ছেন।

উপজেলার কয়া কিসামতপাড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি কয়েকটি গরু লালন-পালন করছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের দাগলাগঞ্জ থেকে প্রতি পণ খড়ের আঁটি কিনেছেন ৮০০ টাকা করে। দাম বেশি হলে বাধ্য হয়ে উচ্চ দামে কিনতে হচ্ছে। তবে নতুন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হলে গোখাদ্যের সমস্যা কেটে যাবে কিছুটা। এর জন্য আরো ২০-২৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে।

একই এলাকার মোঃ মাহাতাব উদ্দিন জানান,ক্ষেতে কীটনাশক ও ঘাস মারার ওষুধ স্প্রে করার কারণে প্রাকৃতিক ঘাস মরে যাচ্ছে। তবে নেপিয়ার জাতীয় ঘাস পাওয়া যাচ্ছে। এক মুষ্টি ঘাস ১০ টাকায় কিনতে হচ্ছে- যা অনেকের পক্ষে কিনে গবাদিপশুকে খাওয়ানো সম্ভব নয়। সৈয়দপুরের মেসার্স ইউসুফ ডেইরি ফার্ম ও হৃষ্টপুষ্ট খামারের মালিক জামিল আশরাফ মিন্টু বলেন, গোখাদ্যের দাম অব্যাহতভাবে বেড়ে যাওয়ায় খরচ বাড়ছে। তাই খামারের অনেক গরু কমিয়ে দিয়েছি। গোখাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অনেকে গবাদিপশু লালনপালন করতে পারবেন না।সৈয়দপুরে খড় কাটা মেশিনের মালিক শাহাজাহান আলী জানান, বেশি টাকা দিয়েও খড় মিলছে না। খড় বেশি দামে কিনে চপার মেশিনে কেটে সেই খড়কুটা ২৩ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। যেহেতু খড় মিলছে না তাই কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে এসব। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষণ বলেন, চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ১১৪ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সামান্য কিছু ক্ষতি হলেও এ বছর ভালো আবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াই শুরু হলে গোখাদ্যের জন্য খড়ের সংকট হবে না।