লালমনিরহাটে জমির জাল দলিল তৈরির কারিগরকে আটক করেছে সিআইডি


saidpureralo প্রকাশের সময় : মে ২০, ২০২৪, ৬:৩৩ অপরাহ্ণ /
লালমনিরহাটে জমির জাল দলিল তৈরির কারিগরকে আটক করেছে সিআইডি

রাসেল ইসলাম, লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাটে জমির জাল দলিল তৈরি চক্রের মূল হোতা দলিল লেখক মহুবর রহমানকে (৬০) জাল দলিলসহ গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি পুলিশ।

 

সোমবার (২০ মে) সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের মধুরাম গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই এলাকার মোছাব্বের আলীর ছেলে এবং সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক।

 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দলিল লেখক মুহুবর রহমান তার প্রতিবেশী তোফাজ্জল হোসেনের রেকর্ডভুক্ত সাড়ে তিন শতাংশ জমি গত বছর ২৬ নভেম্বরে অনলাইনে ১১০/৯৪ নম্বর দলিল মূলে সদর উপজেলা ভূমি অফিসে নিজের নামে নামজারির আবেদন করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তোফাজ্জল হোসেন উক্ত দলিলটির জাবেদা কপি উত্তোলন করে দেখতে পান ওই দলিলটি মহুবর রহমানের নামের দলিল নয় বরং তা জহর উদ্দিন নামে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। একইসাথে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক ভাবে হুবহু আরেকটি দলিল তৈরী করে নামজারীর জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে তোফাজ্জল হোসেন রোববার (১৯ মে) লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে সিআইডির সহায়তা চান। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তে নামে সিআইডি লালমনিরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই সরকার। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত দলিল লেখক মহুবার রহমানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ। এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক জাল দলিল তৈরীর সত্যতা স্বীকারও করেন মহুবার রহমান। একই সাথে তার কাছ থেকে ওই জাল দলিলটিও উদ্ধার করে সিআইডি।

গ্রেপ্তার মহুবর রহমানের প্রতিবেশী লাভলু মিয়া বলেন, আমার এবং আমার জ্যাঠাতো ভাইয়ের ৬১ শতাংশ জমি জাল দলিল দেখিয়ে নিজের নামে খারিজ করার আবেদন করেছিল মহুবর। পরে ভুমি অফিস বুঝতে পেয়ে খারিজ আটকে দেয়। প্রতারক মহুবর আমাদের আরও একটি জমি তার নিজ নামে খারিজ প্রক্রিয়ার শেষ ধাপে ধরা পড়ে। সেখানে দলিলের নম্বর ঠিক থাকলেও দলিলটি মহুবরের না। মহুবর এমন প্রতারনা করে অনেকের জমি জবর দখল করে নিয়েছে।

আরেক প্রতিবেশী আব্দুস সালাম বলেন, আমার পৈতৃক জমি জাল দলিলে দখল করেছে মহুবর। আমার ছেলে সরকারী চাকুরি করায় ঝামেলা এড়াতে মামলায় যাইনি। মহুবরের প্রতারনায় এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।

সিআইডির লালমনিরহাট অফিসের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই সরকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদর গ্রেপ্তার মহুবর রহমান একাধিক জাল দলিলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে জাল দলিলের আরও একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আমরা তাকে আটকের পর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জাল দলিলও উদ্ধার করেছি।