আব্দুল আজিজ,বিরল(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:বিরলে সরকারি রাস্তার একটি কাঠাল গাছ কেটে সেই জমিতে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।বিরল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড এর জ্বোড়াকালী বাজারে গাছ কেনে নির্মাণ করা হচ্ছে এই দোকান।দোকানঘর নির্মাণ শ্রমিকরা জানিয়েছেন আমাদের কে ইসমাইল হোসেন (ইসি) দোকানঘর নির্মাণ করতে বলেছেন তাই আমরা কাজ করছি এই জায়গা কার আমরা জানিনা তবে রাস্তার সংলগ্ন জায়গা তাই মনে হয় রাস্তার জায়গাই হবে। ইসমাইল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ২ একর জমি এখানে আছে আমার জমির সামনের সরকারি জায়গা মানে আমারই জায়গা, জায়গাটি সরকারি নাকি মালিকানা জানতে চাইলে তিনি বলেন জায়গাটি রাস্তার জায়গা আমি একটি গরীব ছেলে দোকান করে দিচ্ছি। কাঠাল গাছ কর্তনের বিষয়ে বলেন এটা একটি শুকনা ছোট কাঠাল গাছ ছিলো তবে সেটা কাউকে না জানিয়ে গাছটি কেটে ফেলা আমার ভুল হয়েছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মহসিন আলী জানায় গাছ কাটার খবর পেয়ে আমি সাথে সাথে সেখানে লোক পাঠাই ও গাছ কাটার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে আমিও সেখানে যাই এবং ১০ রানীপুকুর ইউনিয়নের মুলুকদেওয়ান মোড়ের পার্শ্ববর্তী মজিবর রহমানের করাত মিল করাতকল (স”-মিল) হতে একটি কাঠাল গাছ জব্দ করেছি। গাছটি ইসমাইল হোসেন (ইসি) নামের একজনের নির্দেশে কাটা হয়েছে জানতে পেরেছি এখন পর্যন্ত তার বিষয়ে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি তবে এবিষয়ে সত্যতা পেলে তার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
(করাতকল) স”-মিল মালিক মজিবর রহমান জনান আমার কাছে গাছটটি জোড়াকালী বাজারের সাইফুল ইসলাম নামের একজন ও সাথে আরও দুইজন মিলে গাছটি চিরাই করার জন্য আসে পরে উপজেলা বন অফিসার মহসিন আলী এসে গাছটি জব্দ করে।
বিরল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুনুর রশীদ মানুন জানায় ঘটনার বিষয়ে আমি শুনেছি ও জেনেছি ইসমাইল হোসেন (ইসি) সরকারি রাস্তার জমির গাছ কেটে দোকানঘর তৈরী করতেছে এটা অবশ্যই অপরাধ করেছেন তিনি। ভবিষ্যতে এই রাস্তা প্রসস্থের জন্য এটা বাঁধা সৃষ্টি করবে এবং সরকারি গাছ কেটে তিনি স”মিলে বিক্রি করেছেন এটা অপরাধ তার বিচার হওয়া উচিৎ। এলাকার সচেতন মহলকে সাথে নিয়ে বিরল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে লিখত অভিযোগ দিবো।
আপনার মতামত লিখুন :