নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ হওয়ায় নাগরিকসেবার মান বেড়েছে। সেই সঙ্গে ফিরেছে শৃঙ্খলা। স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছেন কর্মচারীরা। অফিস সূচির বাইরেও দেয়া হচ্ছে সেবা। ভোগান্তি দূর হয়ে তা নেমে এসেছে সহনীয় পর্যায়ে।গত ২৫ সেপ্টেম্বর সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই-আলম সিদ্দিকী প্রশাসক হিসাবে সৈয়দপুর পৌরসভার দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেয়ার পর পৌরসভায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। পরিষদ পরিচালনা করতে গঠন করা হয়েছে ৭ সদস্যের একটি কমিটি। পৌরসভার পাড়া-মহল্লার অলিগলির নির্মাণকাজ পুরোদমে চলছে। জনগুরুত্ব বিবেচনায় এসব উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে। মহল্লা ও বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক বেশি সচল। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পেশাদারত্ব নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো অফিস কর্মকর্তা ও কর্মচারীর টেবিলে নেই ফাইলের স্তূপ। দিনের কাজ দিনেই শেষ করা হচ্ছে। জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন শাখার সেবার মান বাড়াতে রাতেও কাজ করছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।একটা সময় জন্ম ও মৃত্যুসনদ পেতে বহু সময় লেগে যেত। বর্তমানে তা তিন থেকে সাত দিনের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। বলতে গেলে সৈয়দপুর পৌরসভা নাগরিকসেবার মান মডেলে পরিণত হয়েছে।নাগরিকসেবার মান আরো বেশি বাড়াতে এবং পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে দপ্তর প্রধানদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করছেন পৌর প্রশাসক। কথা হয় জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে আসা গৃহবধূ রাহেলা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে মাসের পর মাস ঘুরেও সনদ মিলেনি। বর্তমানে তা তিন থেকে সাত দিনেই মিলেছে। পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজার মমিনুল ইসলাম জানান, পৌর প্রশাসকের সঠিক নজরদারি ও কাজের স্বাধীনতা থাকায় আমরা আনন্দ নিয়ে কাজ করছি। অফিস সূচির বাইরেও সময় দিচ্ছি। তবে আমাদের মধ্যে নেই কোনো ক্লান্তি। পৌর কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুজন শাহ বলেন, পৌর প্রশাসক মাত্র তিন বছর থাকলে সৈয়দপুর পৌরসভা আর্থিক ও সেবার মানের দিক থেকে দেশের মধ্যে মডেল পৌরসভায় রূপ নেবে। পৌর কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বাড়ির কর্তা যদি দক্ষ ও স্বচ্ছ হন, তাহলে পরিবারের সদস্যরাও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। কাজে কোনো গাফিলতি থাকে না। বর্তমান পৌর প্রশাসকের আমলে আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মুক্ত চিন্তায় ও আনন্দচিত্তে দায়িত্ব পালন করছি।সৈয়দপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব ও নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, পৌর প্রশাসকের কাছ থেকে দক্ষ অভিভাবকের নেতৃত্বে পৌরসভা পরিচালিত হচ্ছে। কথা হয় পৌর প্রশাসক ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই-আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সরকারের দেয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরলসভাবে আমাকে সহায়তা করে যাচ্ছেন। এজন্য আমরা নাগরিকসেবা ঠিকভাবে দিতে পারছি। কোনোভাবেই যাতে সেবা দিতে সমস্যা না হয়, সেজন্য অফিস সময়ের বাইরেও ২-৩ ঘণ্টা বাড়তি সময় দেয়া হচ্ছে। এতে কারোরই কোনো ক্লান্তি নেই বলে আমার বিশ্বাস।
আপনার মতামত লিখুন :