মোঃ দেলোয়ার হোসেন,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ভোগ দখলীয় পৈতিক সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে।রবিবার(২৪ নভেম্বর) বিকাল ৫ টায় উপজেলা নিতাই ইউনিয়নের পানিয়ালপুকুরে ভোগ দখলীয় সম্পত্তির উপর অতর্কিত ভাবে অনুপ্রবেশ করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সময় বাধাঁ প্রদান করিলে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মৃত্যু মহির উদ্দিনের ছেলে মিলন মিয়া ও তার ভাই গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে।মারামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতীয় সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে।সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, নিতাই কাচারী পাড়া মাহতাবিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক জেলা ওলামা দলের সভাপতি আ, ন, ম রুহুল ইসলামের দাদা মরহুম আলীমূল্লাহ্ ফকীরের নামীয় সি এস খতিয়ান মূলে ৫৯৯৩ দাগে ১ একর ৮ শতক ভোগ দখলীয় ছিল। তার মৃত্যুর পর মরহুম আব্দুল কাদের সহ তিন ভাই ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা প্রাপ্ত হয়। স্বাভাবিক ভাবেই তারা পারিবারিক ভাবে ভোগ করে আসিতেছে। মরহুম আব্দুল কাদের গং রা মারা গেলে তাদের ছেলে মেয়েরা ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা প্রাপ্ত হয় এবং তারা ভোগ দখল করে আসছে।
অধ্যক্ষ আ, ন, ম রুহুল ইসলাম একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন সচেতন নাগরিক।এলাকায় সহজ সরল হওয়ার কারণে প্রায় সময় এস এ খতিয়ান মূলে অভিযুক্ত ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তি মালিকানা দাবী করে হুমকী ধমকি প্রদর্শন করে। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে হয়ে ২১ সালে বিজ্ঞ আদালতে রেকর্ড ভাঙানোর একটি সিভিল মামলা আনয়ন করেন।যাহার নং ২৯/২১। বিজ্ঞ আদালত মামলা আমনে নিয়ে বিগত ২৫ জানুয়ারী -২২ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সংক্রান্ত কোন প্রকার বিরোধ না করিয়া শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করিয়াছেন। আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে মর্মে উল্লেখ আছে।
সেই আদেশ মূলে স্থানীয় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উভয় পক্ষদ্বয় ডেকে নোটিশ প্রদান করেন।সমাধান না পর্যন্ত উক্ত সম্পত্তির কোন পক্ষ চাষাবাদ বা স্থাপনা নির্মাণ করিতে পারিবে না এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। বাদী পক্ষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জমিতে প্রবেশ করেনি অথচ বিবাদী পক্ষ পেশী শক্তির জোরে অনুপ্রবেশ করিয়া স্থাপনা নির্মাণ করে।
বিজ্ঞ আদালতের রায় অমান্য করে উক্ত সম্পত্তিতে অনুপ্রবেশ করে বাড়ী নির্মানের জন্য ভিত্তি প্রস্তর করে যাহা সম্পূন্ন আইনের পরিপন্থি।
অভিযুক্ত মিলন মিয়া ও তার ভাই গিয়াস উদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
সাবেক ওলামা দলের জেলা সভাপতি, মাহতাবিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ,ন, ম রুহুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ্য। গতকাল অফিসের কাজে জেলা শহরে গিয়েছিলাম সেই সুযোগে তারা আমার পৈতিক ভোগ দখলীয় জমিতে জোর পূর্বক ভিত্তি দেয়। মহিলা মানুষ বাধাঁ প্রদান করিলে তাদের মারপিট সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে কথা হলে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস বলেন, জাতীয় সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে জরুরী টীম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে এবং একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :