কিশোরগঞ্জে পান চাষে মঞ্জু মিয়া এখন স্বাবলম্বী


saidpureralo প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৮, ২০২৪, ৪:৩৩ অপরাহ্ণ /
কিশোরগঞ্জে পান চাষে মঞ্জু মিয়া এখন স্বাবলম্বী

মোঃ দেলোয়ার হোসেন কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে পান চাষে ঝুঁকছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা । এ অঞ্চলের বেলে দোআঁশ মাটি হওয়ায় সব ধরনের ফসলের ভালো ফলন হয়ে থাকে।চলতি বছরে পান চাষ করে হাসি ফুটেছে এ অঞ্চলের কৃষকের।এ অঞ্চলের কৃষিজমিতে পানি জমার সম্ভাবনা কম থাকায় পানের বরজে পানি জমার সম্ভবনা থাকে না। এতে লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলে কৃষকেরা মিঠা জাতের পান চাষ করে সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন । বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পান চাষ করে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।কয়েকজন কৃষক নিজের কয়েকবিঘা জমিতে পান চাষ করেছেন। সেখানে ছোটবড় মিলে প্রায় ১০ টি পানের বরজ রয়েছে। ধান, গম, ভূট্রা  চাষের থেকে পান চাষে খরচ কম ও অধিক লাভ হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকেরা পান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।  তবে পান চাষীদের অভিযোগ, কৃষি অধিদফতরের  পান চাষীদের কাছে কোন সহায়তা পৌঁছান না।নিয়মিত পান চাষিদের পরামর্শ কিংবা সহায়তা করলে আরও ভালো ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা । আরও জানা যায়, চাষ হওয়া এ অঞ্চলের পান ৬থেকে ৭ মাসের মধ্যে তুলে স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন বাজারে পাইকাররা নিয়ে সরবরাহ করেন। এক পানের বরজ তৈরী করে ১৫ থেকে ২০ বছর পান সংগ্রহ করা যায়। মাগুড়া সবুজপাড়া এলাকার পান চাষি মঞ্জু মিয়া জানায়, আমার এক বিঘা জমিতে পানের বরজ করেছি। পানের বরজ তৈরীর ৬ বছর হচ্ছে,  আমি পান তুলে বাজারে বিক্রি করছি। এসব পান চাষে অন্যান্য ফসলের থেকে খরচ খুবই কম। পানের এক বরজ চাষ করে ১৫-২০ বছর পান সংগ্রহ করা যায়। পান চাষের আগে আমি ধান, ভূট্রা থেকে তেমন লাভ করতে পারিনি কখনো কখনো লোকসান হয়ে যেত। পান চাষে করে আমি আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছি। এখান থেকে আমি চাইলে সপ্তাহে কিংবা মাসে পান তুলে বিক্রি করতে পারি। আমার এক বিঘার জমির পানের বরজে বছরে ৫ লাখ টাকা আয় হয়।এখন পান চাষ করে আমি সাবলম্বী হচ্ছি। আরেক পান চাষী আব্দুর সালাম বলেন, বর্তমান সময়ে পান চাষ লাভজনক হয়ে উঠেছে। আমি আমার ২০ শতক জমিতে পান চাষ করেছি। সেখানে পান চাষ করে আমি সাবলম্বী হচ্ছি আমি সপ্তাহে সপ্তাহে পান তুলি।আমার এখনে এসে বাজারের পাইকাররা পান কিনে নিয়ে যায়। আমাদের এলাকায় এখন অনেকে পান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তবে কৃষি অফিস থেকে আমাদের তেমন সহায়তা করা হয় না ভালোভাবে সহায়তা করলে আমাদের ফলন আরও ভালো হত আমরাও লাভবান হতাম।  আমাদের পাশের উপজেলায় মানুষ পান চাষ করেছে সেটা দেখে আমরা অনেকে পান চাষ চাষে আগ্রহী হয়েছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম সৈয়দপুরের আলোকে বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকেরা পান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তারা বাজারে পান নিয়ে যান বাসায় টাকা নিয়ে আসেন। পানের বরাজ তৈরীর ৬-৭ মাসের মধ্যে তা তুলে বাজারে বিক্রি করা যায়।  যেভাবে পান চাষ এগিয়ে যাচ্ছে সেটা অচিরে স্থানীয় বাজার জাত হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাবে। কৃষি অফিস থেকে পান চাষীদের পরামর্শ দিয়ে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করছি।আমরা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি সেখান থেকে কিছু সহায়তা আসলে তাদের দেওয়া হবে।