মোঃ দেলোয়ার হোসেন,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ অনেক আশা নিয়ে ৯ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপন করেছি।এখন আলুর বয়স প্রায় এক মাস। আলু পরিচর্যার কাজ শেষে রাসায়নিক সার দিয়ে বেধেঁ দেয়া হবে। আল্লাহ যদি কোন বিপদ না দেয় আগামী এক মাস পর নতুন আলু বাজারে বিক্রি করে সংসারের আয় উন্নতি করবো এমনটাই আশা ব্যক্ত করেছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের আলু চাষি এমদাদুল হক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হবে এবং মাস খানেক পরেই নতুন আলু উত্তোলন শুরু হবে বলে জানান কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় আগাম জাতের আলুর আবাদ এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৮০ হেক্টর। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন আলু গাছের সবুজ পাতার রঙে মুখরিত ফসলের মাঠ। প্রতিটি মাঠে এখন শুধু সবুজ রঙের চোখ ধাঁধাঁলো বর্ণীল সমারোহ। কৃষাণ-কৃষাণীর ব্যস্ততা এখন ক্ষেত পরিচর্যায়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকেরা কেউ কেউ আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ, সেচ, ছত্রাক রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশক স্প্রে সহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউনিয়নের কেশবা এলাকার আগাম আলু চাষি ছয়ফল হোসেন জানান,আগাম আলুর বাজার ধরার আশায় আগাম আলু রোপণে মাঠে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছি।আবহাওয়া অনুকূল ভালো থাকায় আলুর বাম্পার ফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে বাজার দর ঠিক থাকলে খরচ পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে জানান অনেকেই।
অপর এক আলু চাষি মালেক বলেন, এ বছর আগাম আলু চাষ করতে গিয়ে বিড়ম্বনার পড়তে হয়েছে।বীজ আলু ও সারের দাম এবার বেশি হওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে ব্যয় হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। আশা করছি ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে নতুন আলু বাজারে তোলা যাবে। সঠিক বাজার মূল্য না পেলে এবার কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়ব বলে জানান তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলম বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূল ভালো থাকায় আলুর ভালো ফলনের আশাবাদী কৃষক। বাজারে ভালো দাম পেলে ভালো লাভবান হতে পারবে কৃষকরা।
আপনার মতামত লিখুন :